‘একাগ্রতা থাকলে কষ্টসাধ্য কাজের সাথেও প্রেম তৈরি হয়’
কামরুজ্জামান রনি। মঞ্চ নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয়, সংগীত ও নির্মাণের ধারাবাহিকতায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন প্রায় দেড় যুগ। তার এই দীর্ঘ পথচলার কিছু কথা এবং বর্তমানের ব্যস্ততা নিয়ে তার মুখোমুখি হয়েছেন শিশির রোয়েদাদ।
শুরুটা কেমন ছিল? কেমন হলো? ছোটবেলা থেকে নজরুলসংগীতে হাতেখড়ি। আর কৈশোর থেকে নাগরিক নাট্যাঙ্গনের মাধ্যমে থিয়েটারে যাত্রা শুরু। ২০০৫ সালে লাকী ইনাম-এর নির্দেশনায় এনটিভির জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক আমাদের ‘আনন্দ বাড়ি’র মাধ্যমে টেলিভিশন মিডিয়ায় যুক্ত হই। ‘চন্দ্রাহত’ নাটকের মাধ্যমে ২০০৭ সালে নির্মাতা হিসেবে যাত্রা শুরু। তারপর বেশ কিছু নাটক টিভি চ্যানেলের জন্য নির্মাণ করেছি। তাদের মধ্যে এটিএন বাংলায় ‘প্রতিস্থাপন’, বাংলাভিশন-এর জন্য ঈদ নাটক ‘দ্য কাউ’, মাছরাঙার উদ্বোধনী টেলিছবি ‘শেষে যা থাকে’, এনটিভির বাবা দিবসের নাটক ‘বাবা’… আর থেমে থাকা নেই!
অনুপ্রেরণা ও প্রাপ্তি সম্পর্কে কী বলবেন? দর্শক-শ্রোতার জন্য আমি কাজ করি, তারাই আমার অনুপ্রেরণা। হ দি হক-এর পরিচালনায় দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র ‘১৯৭১ সেইসব দিন’। এই চলচ্চিত্রের প্রযোজক, সহযোগী পরিচালক এবং সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলাম। হৃদি হকের লেখায় দেবজ্যোতি মিশ্র-এর মিউজিক কম্পোজিশন ‘যাচ্ছ কোথায় কিছু না বলে’, ‘কেউ কী ভেবেছিল’ শিরোনামের দুটি গান গেয়েছি। গান দুটি খুব প্রসংশিত হয়েছে। এটা আমার অন্যতম প্রাপ্তি।
কাজের সঙ্গে প্রেম হলো কীভাবে?
আমি যখন সিদ্ধান্ত নিই যে আমি নির্মাতা হব তখন থেকে সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং, কালার গ্রেডিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দেই, বিভিন্ন কোর্স করি। আর মিউজিক নিয়ে আমার ফ্যাসিনেশন তো ছিলই! আমার নির্মিত সব নাটক, ডকুমেন্টারি, বিজ্ঞাপনগুলোর এডিটিং কালার, গ্রেডিং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আমার করা। ইচ্ছা এবং একাগ্রতা থাকলে কষ্টসাধ্য কাজের সাথেও প্রেম তৈরি হয়।
থিয়েটারের কাজ প্রসঙ্গে কী বলবেন?
থিয়েটার দিয়ে শুরু। মঞ্চে অভিনয় করা অন্যরকম একটি ব্যাপার। আমাদের চলতি প্রযোজনা ‘আকাশে ফুটেছে ফুল-লেটো কাহন’-এ আমার অভিনীত কাজী নজরুল ইসলাম, দুখু মিয়া চরিত্রটি আমার অভিনয়কে সমৃদ্ধ করেছে। সকলের প্রশংসায় দারুণ অনুপ্রাণিত হয়েছি। এ নাটকের মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে নানা এক্সপেরিমেন্টও করার সুযোগ হয়েছে আমার।
বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
সজল, জুয়েল জহুর আর সানজিদা প্রীতিকে নিয়ে এক ঘণ্টার নাটক ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’-এর শুটিং শেষ করলাম। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই দর্শক দেখতে পাবে নাটকটি।
হৃদি হক-এর রচনায় আবার একটি ধারাবাহিক ‘মেয়ে’ নাটকের শুটিং শুরু করেছি। নিজের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছি।