ফাইনালের গ্যালারিতে বরিশালের একক দাপট 

Share Now..

একাদশ বিপিএলের ফাইনালে শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। যেখানে গ্যালারি জুড়ে দেখা গেছে লাল সমুদ্র। যতদূর চোখ যায়, শুধু লাল জার্সির ঢল। বরিশালের সমর্থকরা যেন ঢাকাকে নিজেদের ঘরের মাঠ বানিয়ে ফেলেছিল! তাতে ফাইনালে কোনঠাসা হয়ে পরেছিল চিটাগংয়ের সমর্থকরা। 

বিপিএলের ফাইনালের পূর্বঘোষিত সূচির থেকে এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়। খেলা শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। তবে এই ম্যাচটি দেখতে সমর্থকরা স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হয় দুপুর ১টা থেকেই। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিরপুর স্টেডিয়ামের আশপাশ রূপ নেয় জনসমুদ্রে। এ সময় ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে এসেছেন বাসে, কেউ এসেছে সিএনজি করে। তবে বিকাল ৩টায় মেট্রো সচল হওয়ার পর স্টেডিয়ামের আশপাশে যেন সমর্থক সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। মেট্রো স্টেশনগুলোতেও দাপট দেখা গিয়েছে বরিশালের সমর্থকদের। শত শত সমর্থক একসঙ্গে মেট্রোরেলে চড়ে মিরপুরের পথে, গায়ে লাল জার্সি, বরিশালের দলের পতাকা। মুখে ‘জয় বরিশাল!’ স্লোগান। ট্রেন থেকে নামার পর তাদের স্রোত মিশে যায় স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশপথে।  তবে যে ফাইনাল ম্যাচেই এমন চিত্র দেখা গেছে তেমনটি নয়। আসরের শুরু থেকেই ফরচুন বরিশাল ফ্রাঞ্চাইজির প্রতি সমর্থকরা তাদের এমন ভালোবাসা প্রদর্শন করে আসছে। ঢাকা-সিলেট কিংবা চট্টগ্রাম কোথাও বরিশালের ম্যাচে সমর্থকদের কমতি দেখা যায়নি। তামিম ইকবালদের ম্যাচ মানেই যেন হাউজফুল গ্যালারি। ফাইনালেও সেই ধারাবাহিকতা দেখা গিয়েছে।

ম্যাচ শুরু হওয়ার অনেক আগেই ‘বরিশাল, বরিশাল’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম। পোস্টার আর পতাকা নিয়ে বরিশাল ভক্তরা যেন উৎসবের আবহ তৈরি করেছে। বিপিএল ইতিহাসে একটি ফ্রাঞ্চাইজির জন্য এত বড় সমর্থক সমাগম খুব কমই দেখা গেছে। এর আগে এমন সমর্থন দেখা যেত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানের জন্য। যদিও এবারের আসরে নেই এই টুর্নামেন্টের ৪ বারের শিরোপা জয়ী ফ্রাঞ্চাইজিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *