বাড়ি ফেরার সময় চাঁদপুরের ইলিশ নিয়ে ফিরব: কৌশানি
টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জি। দ্বিতীয়বার ঢালিউডের ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। ছবির নাম ‘প্রিয়া রে’। পুজন মজুমদারের পরিচালনায় এ ছবিতে কৌশানির বিপরীতে অভিনয় করছেন বাংলাদেশি অভিনেতা শান্ত খান। চাঁদপুরের এক গ্রামীণ পরিবেশে গত মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শুটিং শুরু করেছেন তারা। শুক্রবার দুপুরে শুটিং সেটে বসেই একান্ত আলাপ করেছেন ইত্তেফাক অনলাইনের সঙ্গে। এসময় কৌশানি জানান বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় বাড়ি মনে হয়। যখন তিনি কলকাতায় ফিরবেন এখানকার ইলিশ নিয়ে যাবেন সঙ্গে করে। কৌশানি মুখার্জির সঙ্গে দীর্ঘ এ আলাপ করেছেন বুলবুল ফাহিম।
বুলবুল ফাহিম: ২০১৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন। সেই সময় শুটিং হয়েছিল গোছালো ও আভিজাত্য এলাকায়। আবার এসেছেন। এবারের পরিবেশটা গ্রামের। সবমিলিয়ে এবারের অভিজ্ঞতাটা কেমন?
কৌশানি মুখার্জি: আমি বাংলাদেশকে সবসময় দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে দেখি। আমার কাছে মনে হয় না- আমি বিদেশে এসেছি। মনে হয়, আমি আমার কাছের মানুষজনদের পেয়েছি। এখানকার আতিথেয়তা, আপ্যায়নের ধরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে। ২০১৫ সালে আমার প্রথম ছবি ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’ শুটিং হয়েছিলো। ঠিক ৬ বছর পর এসে মনে হচ্ছে আমি সেই ফিলটা পাচ্ছি। পুরো গ্রামের একটা পরিবেশ। গ্রামের মানুষ। সসব মিলিয়ে দারুণ একটা অভিজ্ঞতা।
‘প্রিয়া রে’ ছবিতে আপনার চরিত্রটা কেমন দেখতে পাবে দর্শকরা?
এখানে আমি যে ছবিটি করছি সেটার নাম ‘প্রিয়া রে’। আর আমার চরিত্রটার নাম প্রিয়া। আমি একজন ঘরোয়া রোমান্টিক মেয়ে কিন্তু পড়াশোনায় ভালো না। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। সেই আদর থেকেই প্রেমের অধ্যায়টা জীবনে শুরু হওয়া।
‘প্রিয়া রে’ সিনেমার নায়ক শান্ত খান। তার সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
শান্ত খানকে দেখে আমার জার্নিটা মনে পড়ে যায়। কারণ, সবাই তো আর জন্মের পরই সুপারস্টার হয় না। সবারই একটা স্ট্রাগল থাকে, পুরো একটা ইতিহাস থাকে। সেটা পরে গিয়ে আমরা বলতে পারি- আমার সঙ্গে এই এই হয়েছে। সেখানে শান্ত অনেক ভালো। প্রথম দিকে সে অনেক চুপচাপ ছিলো। কিন্তু আমি নিজে এসেই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফেলেছি। আমার একবারের জন্যও মনে হয়নি সে নতুন অভিনেতা।