যশোরের ২নং লেবুতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৭ মেম্বরের নানা অভিযোগ

Share Now..

এস আর নিরবঃ

যশোর সদরের ২নং লেবুতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে ৭ ইউপি সদস্য প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার তারা দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দফতরে এ অভিযোগ দেয়। অভিযোগকারীরা হলেন, ইউপি সদস্য মোহন কুমার ঘোষ, আসাদুজ্জামান, নজরুল ইসলাম, মুনতাজ আলী, শওকত হোসেন, রমিতা খাতুন ও রবিউল ইসলাম।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদরের লেবুতলা ইউনিয়নের আলিমুজ্জামান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তার দুর্নীতির কারণে তার পরিষদের সদস্যরা সুবিধা বঞ্চিত ও অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ।

বর্তমান সরকার জীবন জীবিকা পরিচালনার জন্য চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধি করেছে। যার একটি অংশ চেয়ারম্যানের দেয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো সম্মানি ভাতা চেয়ারম্যান দেয়নি । কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ পরিষদ সদস্যদের মিটিং ছাড়াই চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত কায়দায় সচিবকে দিয়ে রেজুলেশন করে জমা দেন। কোনো অর্থবছরে এলজিএসপির টাকা আসলে মেম্বরদের জানানো হয়না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩০/৪০ হাজার টাকার কাজ মেম্বরদের দিয়ে করা হয়। বাকি টাকা দিয়ে চেয়ারম্যান কি করেন তা কোনো মেম্বর জানেন না।

চেয়ারম্যান ১২ জন মেম্বরের সীল তৈরি করে নিয়েছেন। এসব সীল বিভিন্ন প্রকল্পের বিল ভাউচারে ব্যবহার করা হয়। যা মেম্বররা কেউ জানেন না। এ ইউনিয়নের ট্যাক্স এনজিও কর্মীদের দিয়ে আদায় করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন খাত থেকে উপার্জিত অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয় তা কোনো সদস্য জানেন না।

বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও মাতৃত্বকালিন ভাতার কার্ড দুই একটি মেম্বরদের দেয়া হয়। বাকি কার্ড চেয়ারম্যান তার নিজস্ব লোকদের দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কার্ড দেয়ার জন্য জনপ্রতি ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা তাদের দিতে হয়। চেয়ারম্যনের ভাই পুরতান কার্ডধারীদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাতিল করে নতুন কার্ড করে দেয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে ব্যাপক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

করোনার সময় সরকারের দেয়া অনুদান কোনো অভাবি লোক পায়নি। যারা চেয়ারম্যানের কাছের লোক তাদের এ অনুদান দেয়া হয়েছে। একনকি গাভী খামারির অনুদান দেওয়া হয়েছে, তাদের কারো কোন খামার বা গাভি নেই। চেয়ারম্যান করোনার অনুদান দিবে বলে লোকজনের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিলেও তাদের কোনো অনুদান দেয়া হয়নি। পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পে মহিলা নিয়োগ দিয়ে চেয়ারম্যান জনপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

আর্সেনিকমুক্ত নলকুপ দেওয়ার কথা বলে মেম্বরদের মাধ্যমে টাকা নিলেও পরবর্তীতে চেয়ারম্যান তাদের নলকুপ না দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে তাদের নলকুপ দিয়েছেন।

এ সব বিষয়ে ইউপি সদস্যরা কথা বল্লে চেয়ারম্যান তা আমলে নেন না। অবশেষে চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ওই ৭ ইউপি সদস্য মঙ্গলবার প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে এ অভিযোগে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *