চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি: উইলিয়ামসন
শুরুটা পাকিস্তানের কাছে হার দিয়ে। তবে এর পরই ছন্দ বদল নিউজিল্যান্ডের। টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট ভারতকে হারানোর পরই তাদেরকে ভাবা হয় সেমিফাইনালের অন্যতম দল হিসেবে। সুপার টুয়েলভ রাউন্ড শেষে হয়েছে সেটাই। সেমিফাইনালে সেই ইংল্যান্ড। গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাদের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল কিউইরা। ব্যর্থতা ভুলে ফের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামন-
প্রশ্ন: সেমিফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্স নিয়ে আপনার মতামত জানাবেন?
উইলিয়ামসন: আমি মনে করি, টুর্নামেণ্টে আসা প্রতিটি দল জানতো যে, টুর্নামেন্ট প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হবে। এটি অবশ্যই প্রমাণিত হয়েছে এবং দুই গ্রুপই বেশ কঠিন ছিল। আমাদের মনোযোগটা ছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ উন্নতি করার দিকে। এবং আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটি বেশ ভালোভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। সেমিফাইনালে আসতে পারাটা অসাধারণ ছিল। মনোযোগ স্পষ্টতই এখন পরের চ্যালেঞ্জের দিকে। যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
প্রশ্ন: পাঁচ বছর আগে অধিনায়ক হিসেবে আপনার প্রথম টুর্নামেন্টে এখান থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন। এবারও একই প্রতিপক্ষ। এই পাঁচ বছরে দল কতদূর এসেছে বলে আপনার মনে হয়?
উইলিয়ামসন: পাঁচ বছর আগের কথা ভাবলে আমার মনে হয় সফরটা ভালো হয়েছে। সেমিফাইনালে উঠতে পেরে দারুণ লাগছে। তবে ছেলেরা চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছে এবং আমরা যে ধরণের ক্রিকেট খেলছি তাতে মনোযোগ দিতে চাই। চেষ্টা করছি উন্নতি করার।
প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয়, কাল (আজ) রাতের ম্যাচে জিততে পারবেন?
উইলিয়ামসন: যখনই ক্রিকেট খেলি, তখনই আমাদের ফোকাস থাকে খেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর দিকে, যা সেরা সুযোগ এনে দেয়। নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডও একই কিছু করবে। টুর্নামেন্ট জুড়ে দুটো দলই ভালো খেলছে। সত্যিই ক্রিকেটের ভালো একটি ম্যাচ হবে। এই টুর্নামেণ্টে প্রতিটি দলেরই ম্যাচ উইনার আছে। যা উত্তেজনা পূর্ণ ইভেন্টে জয়ের রাস্তা তৈরী করে দেয় এবং শেষ তিন সপ্তাহজুড়ে আমরা সেটাই দেখছি।