জর্ডান-বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

Share Now..

যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে জর্ডান ও বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। জর্ডান সফররত যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জর্ডানের যুব বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাবুলসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষত করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় জর্ডানের যুব বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে তাঁদের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠককালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জর্ডানের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিনিময়ের প্রস্তাব করেন।

ব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুব উন্নয়ন বিষয়ে বাংলাদেশ তার অভিজ্ঞতাকে বন্ধু প্রতিম দেশ গুলোর সাথে ভাগাভাগি করতে আগ্রহি। বাংলাদেশর এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা তরুন। তাদের উন্নয়নের সরকার বেশ কিছু অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগ নিয়েছে।

dfs

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই প্রচেষ্টার স্বীকৃতিরুপ, ঢাকাকে ২০২০ সালের জন্য ওআইসি যুব রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং উন্নয়ন কাঠামোতে তরুণদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি বাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্যের একটি অন্যতম কারণ। দেশের উন্নয়নে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশের লক্ষ্য হল শিক্ষা বা কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণ নেই এমন যুবকদের সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা। এই লক্ষ্যে সরকার শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় যুবকদের দক্ষতা উ্ন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং অন্যান্য সহায়তা পাওয়ার জন্য অকাঠামো তৈরি করেছে। প্রতিবছর প্রায় সোয় তিন লক্ষ তরুন ও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে থাকে।

জর্ডানের যুব বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাবুলসি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে জর্ডানে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে তরুণ ও যুব শ্রেণীর অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। পারস্পরিক সহযোগিতা বিনিমেয়ের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া একটি অর্থর্নৈতিক উদীয়মান রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ জর্ডানের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে জোরদার লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে আরও যোগাযোগ বৃদ্ধির কথা বলেন।

কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা বিনিময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, একটি বৃহৎ জনসংখ্যা দেশে হিসেবে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *