ইউক্রেনের আভদিভকা শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলো রাশিয়া
ইউক্রেনের শহর আভদিভকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। গোলাবারুদের অভাবে কিয়েভ সেনা প্রত্যাহারের পর শহরটির দখল নিয়েছে মস্কো। তবে এখনো কিছু ইউক্রেনীয় সেনা শহরের বিশাল সোভিয়েত যুগের কোক প্ল্যান্টে আটকে রয়েছে বলে রোববার রাশিয়া জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।
২০২৩ সালের মে মাসে বাখমুত শহর দখল করার পর থেকে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় সাফল্য আভদিভকা দখলে নেওয়া।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের সেনারা ১ হাজার কিমি ফ্রন্ট লাইনের সেই অংশে ৮ দশমিক ৬ কিমি অগ্রসর হয়েছে। তীব্র যুদ্ধে শহরটি সম্পূর্ণ জনবসতিহীন ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যেও রুশ সেনারা সামনের দিকে এগিয়ে গেছে।
ইউক্রেন বলেছে, তারা কয়েক মাস ভয়ানক লড়াইয়ের পরে সৈন্যদের পুরোপুরি বন্দী হওয়া থেকে বাঁচাতে প্রত্যাহার করেছে।
আভদিভকার পতনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় বলে অভিনন্দন জানিয়েছেন পুতিন। তিনি রুশ সেনাদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
গত বছর রুশ সেনাদের প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার পর ইউক্রেনীয় সেনাদের ধরাশায়ী করার চেষ্টা করেছে। কিয়েভ নতুন করে বড় আকারের সংহতির কথা ভাবছে। ফলস্বরুপ রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ পরিচালনার জন্য নতুন কমান্ডার নিয়োগ করেছেন।
ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটের বিবৃতিতে রুশ সেনাদের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
কিন্তু রাশিয়া বলেছে, কিছু ইউক্রেনীয় বাহিনী এখনো আভদিভকার সোভিয়েত-যুগের কোক প্ল্যান্টে আটকে আছে। এটি একসময় ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম শিল্প কারখানা ছিল। মূলত দনবাস অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা রাশিয়ার লক্ষ্যের চাবিকাঠি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, ‘জঙ্গিদের শহরকে সম্পূর্ণরূপে সাফ করার জন্য এবং শহর ছেড়ে আসা ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলোকে অবরুদ্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তারা আভদিভকা কোক অ্যান্ড কেমিক্যাল প্ল্যান্টে ঢুকে পড়েছে।’
এ বিষয়ে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করা হয়নি। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেখানো হয়েছে, আভদিভকাতে ইউক্রেনের পতাকা নামানো হচ্ছে এবং কোক প্ল্যান্টের ওপরে রাশিয়ার পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু পিছু হটার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে।
আভদিভকা শহরটিতে গত এক দশক ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। শহরটি রাশিয়ার জন্য বিশেষ। কারণ শহরটির কিছু অংশ ২০১৪ সালে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে নিয়েছিল। কিন্তু তারপরে ইউক্রেনীয় সেনারা ব্যাপক প্রতিরোধ করে পুনরায় দখলে নেয় শহরের।