ইবি শিক্ষিকাসহ স্বামীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ নিরাপত্তা কর্মকর্তার

Share Now..

\ ইবি প্রতিনিধি \
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দায়িত্ব পালন অবস্থায় বহিরাগত কর্তৃক অশোভনীয় আচরন ও হুমকির পাল্টা অভিযোগ এনেছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগপত্র অনুযায়ী ঈদের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম (সেলিম)। মেইন গেটের মূল ফটক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধকালীন সময় বন্ধ রাখার নির্দেশ ছিল। এছাড়া কোন মোটরসাইকেল ও ভ্যান চলাচল করবে না বলে প্রক্টর অফিস থেকে জানানো হয়। তবে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত কোন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন পরিচয় সাপেক্ষে মূল গেটের দক্ষিণ পাশে ছোট ফটক দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। অভিযোগপত্রে সেলিম বলেন, গত ১৪ এপ্রিল আনুমানিক বেলা ১২টা ২০মিনিটের দিকে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে প্রধান ফটকের দিকে একটি বাইক দ্রæত আসতে থাকে, তখন কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা সেই মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের সাথে বাইকচালক উচ্চস্বরে কথা কাটাকাটি ও মূল ফটক খোলার জন্য কর্তব্যরত আনসারদের গালিগালাজ, অসৌজন্যমূলক আচরণ ও দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে বাংলা বিভাগের সাবেক ছাত্র চঞ্চল ভাইকে দেখতে পেয়ে বলি, ‘দাদা আপনি আমার ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই, আপনি একটু কষ্ট করে ঈদের কয়েকদিন মূল ফটকের দক্ষিণ পাশের ছোট গেটে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী চলাচল করুন।’ তখন তিনি বলেন, ‘আমি কি লেবার যে ছোট গেট দিয়ে যাবো?’ এছাড়া আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এতে আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা হিসেবে বহিরাগতদ্বারা লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে মনে করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেনের অভিযোগের বিষয় উল্লেখ করে সেলিম বলেন, তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া এই বিষয়ে আমার সাথে তার কোন যোগাযোগ হয়নি। তিনিও বন্ধকালীন বিভিন্ন সময়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে আইন অমান্য করে বেআইনিভাবে মূল ফটক আনসার সদস্য দিয়ে খুলে জোরপূর্বক প্রবেশ করেন। এবিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন বলেন, আমি এই বিষয়ে বিব্রত এবং লজ্জিত। সে (কর্মকর্তা) যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনাস্থলে কোনও ভীড় ছিল না বরং গেট ফাঁকা ছিল। এছাড়া শিক্ষক হিসেবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে তা জোরপূর্বক হয় কিভাবে! ঘটনার দিন এমন কিছু ঘটলে তো সে আগে অভিযোগ জানাতো, আমি (আগে) জানাতাম না। রেজিস্টার(ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, অভিযোগপত্রটি হাতে পেয়েছি। শীঘ্রই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনিই যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *