ইরানের সঙ্গে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতির আশা

Share Now..


ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির নবায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ভিয়েনায় রাশিয়ার শীর্ষ মধ্যস্থতাকারী এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তবে অন্য প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে এখনো নীরব রয়েছেন।২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমাজের পরমাণু শক্তি সে দেশের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি সীমিত রেখেছিল।

পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে ইরানকে বিরত রাখতে একাধিক শর্ত চাপানো হয়েছিল এবং সেই প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে সেই চুক্তি থেকে সরে আসার পর ইরানও চুক্তির শর্ত ভেঙে বেপরোয়া পদক্ষেপ নিতে থাকে। ওয়াশিংটনে ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের আমলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করায় ইরানও কোনো সদিচ্ছা দেখায় নি।

ইরানের দাবি, ওয়াশিংটনকে নিঃশর্তে চুক্তির আওতায় আসতে হবে, সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ভবিষ্যতে কোনো মার্কিন প্রশাসন এই চুক্তি ত্যাগ করবে না – এমন গ্যারেন্টি দিতে হবে।

এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানসহ চুক্তির বাকি স্বাক্ষরকারী শক্তিগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিরা ভিয়েনায় আবার আলোচনা চালাচ্ছেন। রবিবার আলোচনার চতুর্থ দিনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানভ বলেন, আমরা ফিনিশিং লাইন থেকে পাঁচ মিনিট বা পাঁচ সেকেন্ড দূরে পৌঁছে গেছি। শুধু তিন থেকে চারটি বিষয়ের নিষ্পত্তি বাকি আছে। সেগুলো বিশেষ করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য স্পর্শকাতর বিষয়।” সাফল্যের গ্যারিন্টি দিতে না পারলেও উলিয়ানভ মনে করেন, আলোচনা সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে। আলোচনা দ্রুত শেষ হবে বলেও তিনি মনে করেন। রাশিয়ার পূর্ণ সমর্থনেরও আশ্বাস দেন রুশ রাষ্ট্রদূত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *