ওসির বিরুদ্ধে কনস্টেবলকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

Share Now..

এবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বহুল আলোচিত বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে নিজ থানায় কর্মরত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে কর্তব্যরত অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে কনস্টেবল মনিরুলের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা রিতা গত ২৭ জুন আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

পুলিশ কমিশনারের দপ্তর অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য আরএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) রশীদুল হাসানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজিয়া সুলতানা রিতার স্বামী কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ২০১৬ সাল থেকে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মুন্সী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। শুরু থেকেই তিনি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২৬ জুন বেলা ১১টার দিকে বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত কনস্টেবল আফরোজা আক্তার, কনস্টেবল রাজিয়া সুলতানা, কনস্টেবল মোস্তাক আহমেদ্দের উপস্থিতিতে বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন তার স্বামী মনিরুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। তার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং ভয়ভীতির কারণে কনস্টেবল মনিরুল শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ওসির গাড়িতে করে ওইদিন দিবাগত রাত ১০টার দিকে তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তার স্বামীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন ও বাড়িতে তিন দিনের বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। তার স্বামী সুস্থ হতে পারেননি ও প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ সংক্রান্তে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাই তিনি তার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার কারণে বোয়ালিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি থানায় মুন্সী হিসেবে কর্মরত আছি। মামলা তদন্ত করেন অফিসাররা। কোনো ভুল হলে তারা করেন সেটার দায়ভারতো আমার নয়। কিন্তু ওসি স্যার অকারণে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মারধর করতেও উঠেন। ২৬ জুনেও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক ৩ দিনের বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন। সুস্থ না হতে পারার কারণে আবার আমাকে ৩ দিনের বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। ওই ঘটনার পর আমি আর সুস্থ হতে পারছিনা। আশঙ্কা কাজ করছে। ওসি সাহেব শুধু আমাকেই নয় থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন ও মারতে উঠেন। এ নিয়ে থানায় অন্যান্যদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্যারদের কাছে। আমি মুখ বুঝে সহ্য করলেও আমার স্ত্রী আমার শারীরিক অবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারেননি তাই অভিযোগ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *