কাটগড়া বাওড়ে মাছ চাষের নামে চলছে হরিলুট ‘‘অব্যবস্থাপনার কারণে মাছ চাষে সরকারের লোকসান হলেও লাভবান হচ্ছেন বাওড় ব্যবস্থাপক”

Share Now..

বি,এম, ওয়াদুদ মহেশপুর (ঝিনাইদহ) ॥ কাটগড়া বাওড়ে (২০২০-২০২১) অর্থ বছরে মাছ আহরণ করে বাওড় ব্যবস্থাপক ২৮ লক্ষ টাকা আত্নসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঝিনাইদহ জেলার কাটগড়া বাওড়টি ১৩৯ হেক্টর জলকর নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর চাষাবাদ শুরু করেন। মৎস্য অধিদপ্তর বিভিন্ন সময় বাওড় ব্যবস্থাপকদের মাছ ও টাকার লক্ষমাত্র দিলেও বাওড় ব্যবস্থাপকদের দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে বাওড়ের লক্ষমাত্র অনেক সময় পূরণ হয়নি। কাটগড়া বাওড় থেকে ইতিপূর্বে ৪৫টন পর্যন্ত মাছ উৎপাদন হয়েছে । কিন্তু বিভিন্ন সময় বাওড় ব্যবস্থাপকদের দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে এবং প্রকল্প পরিচালকের সাথে যোগসাজস করে বাওড়ে মাছ উৎপাদনের লক্ষমাত্র কমানো হয়েছে । গত ১৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে (২০২০-২০২১) অর্থ বছরে ৩৬ টন মাছে ১৬ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা লক্ষমাত্র নিয়ে নতুন যোগদানকৃত বাওড় ব্যবস্থাপক দেবব্রত কবিরাজ আগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যানেজার হরিনাথ কুমার দেবনাথের রেখে যাওয়া মাছ আহরন শুরু করেন । তিনি গত ১৪ অক্টোবর ২০২০ তারিখে বাওড় ব্যবস্থাপক হিসাবে যোগদান করেন।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে গত ১৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখ থেকে মাছ আহরণ শুরু হয়ে ৯ জানুয়ারী ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ১ম ধাপের মাছ আহারণ করা শেষ হয় । ১ম ধাপেই সরকারের লক্ষ মাত্র ছাড়িয়ে মৎস্যজীবিদের ৪০% টাকা পরিশোধ করে ম্যানেজারের নিকট জমা থাকে ৩২ লক্ষ ৬ হাজার ২০ টাকা। কিন্তু বাওড় ম্যানেজার সরকারী কোষাগারে ৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে জমা দেন মাত্র ১১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা । ২য় ধাপে মাছ আহারণ শুরু হয় গত ২৫ ফ্রেব্রুুয়ারী ২০২১ তারিখ থেকে । ২য় ধাপে মৎস্যজীবিদের ৪০% টাকা পরিশোধ করে ম্যানেজারের নিকট জমা থাকে ৪ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা । ৩য় ধাপে মাছ আহারণ শুরু হয় ৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখ থেকে ১৫ জুন ২০২১ তারিখ পর্যন্ত । ৩য় ধাপে মৎস্যজীবিদের ৪০% টাকা পরিশোধ করে ম্যানেজারের নিকট জমা থাকে ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা । এ ছাড়াও খুচরা মাছ বিক্রি করে ২ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। বাওড় থেকে মোট ৩ ধাপে মাছ বিক্রি করে ৪২ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা এবং খুচরা মাছ বিক্রি করে ২ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে । তিনি সরকারী কোষাগারে জমা দিয়েছেন ১৬ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা । বাকী ২৮ লক্ষ ২২ হাজার টাকা ম্যানেজার দেবব্রত কবিরাজ নিজে আত্নসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

এ ব্যাপারে বাওড় ব্যবস্থাপকের নিকট বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিপ করেননি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *