চার দিবসকে ঘিরে দেড়’শ কোটি টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা ঝিনাইদহের মাঠে মাঠে অনিন্দ্য শোভা আর স্নিগ্ধ সুবাসের ঘ্রান
\ আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ \
প্রধান কয়েকটি দিবস সামনে রেখে ঝিনাইদহের ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ীরা ব্যস্ততম সময় পার করছেন। তাদের যেন কোন ফুরসত নেই। তাই বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১শে ফেব্রয়ারি মাতৃভাষা দিবস ও ২৬ শে মার্চ উপলক্ষ্যে ফুলের রাজ্যে লেগেছে ফাগুনের হাওয়া। ফুল চাষিরা শেষ মহুর্তে নিজের বাগান পরিচর্চা ও বাজার নিয়ে নানা পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। দিবসগুলো সামনে আসার আগেই মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে অনিন্দ্য শোভা আর ফুলের স্নিগ্ধ সুবাস। জাতীয় ও আন্তার্জাতিক এই চারটি দিবসকে ঘিরে শত কোটিরও বেশি টাকার ফুল বাণিজ্য হবে বলে ব্যবসায়ী ও চাষিরা মনে করছেন। চাষিরা বলছেন, বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও ২১শে ফেব্রয়ারির বাজার ধরতেই এখন তাদের প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশ ফ্লোয়ার সোসাইটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও ঝিনাইদহের গান্না বাজার ফুল চাষি সমবায় সমিতির সভাপতি জমির উদ্দীন জানান, জেলা সদর, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে শোভা পাচ্ছে চায়না গোলাপ, থাই গোলাপ, জারবেরা, গøাডিওলাস, রজনীগন্ধা, মাম ফুল, বোতাম ফুল, গাঁদা, লিলিয়াম, জিপসি ও চন্দ্রমল্লিকা ফুলের ক্ষেত। তিনি বলেন, বসন্ত উৎসব, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বাজার ধরতে তারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। ২৬ মার্চ পর্যন্ত ফুল ধরে রাখতে, পোকার আক্রমণ ও পচন রোধে চাষিরা সতর্ক ভাবে পরিচর্যা করছেন। গান্না বাজারের ফুলচাষি নজরুল ইসলাম ও আদম আলী জানান, এক বিঘা জমিতে গোলাপ ফুল চাষ করতে তাদের সাকুল্যে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বছর শেষে তাদের লাভ হয় বিঘা প্রতি জমিতে ২০ লাখ টাকা। ওই এলাকার ফুল চাষি মারুফ ও হাসান জানান, এক বিঘা জমিতে জারবেরা ফুল চাষ করতে ১৪ লাখ টাকা খরচ হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে বছর শেষে লাভ হয়, ২৫ লাখ টাকা। কালীগঞ্জের বেলডাঙ্গা গ্রামের ফুল ব্যবসায়ী প্রদিপ সাহা জানান, ভালোবাসা দিবসে রজনীগন্ধা ও ২১শে ফেব্রয়ারি মাতৃভাষা দিবসে গাঁদা ফুল বিক্রি বেশি হয়। এ বছরও তারা তেমন প্রস্তুতি মাথায় নিয়ে বাজার সাজাচ্ছেন। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ফুল চাষি ফজলুর রহমান খাঁন বলেন, ফুলের মান ধরে রাখতে এবং পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন ও কীটনাশক ব্যবহার করছি। আশা করছি, ভালো দামে ফুল বিক্রি করতে পারবেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, তার দেড় বিঘা জমিতে গোলাপ বাগান রয়েছে। বাগানের গোলাপগুলো লংস্টিক এবং লাল, সাদা, হলুদ, কমলা ও গোলাপি রঙের। এ রঙের ফুল ভালোবাসা দিবসে অনেক বেশি কদর থাকে। এ বছর আবহাওয়া কারণে উৎপাদন অনেক কম। গাছে এখন নতুন কুড়ি এসেছে। আর যেনো নষ্ট না হয় সেজন্য ভিটামিন প্রয়োগ করছেন। তিনি আশা করেন, এ বছর এক একটি গোলাপ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগার আলী জানান, জেলায় রবি মৌসুমে ২১৬ হেক্টর ও খরিপ মৌসুমে ১৮৪ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়ে থাকে। চলতি বছরে এই চাষ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলায় দুই’শ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। আর এই ফুল সেক্টরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন বলেও তিনি মনে করেন। ঝিনাইদহ গান্না বাজার ফুল চাষি সমবায় সমিতির সভাপতি জমির উদ্দীন জানান, সারা বছর ফুল বিক্রি কিছুটা কম থাকলেও মূলত বেচাকেনা হয় উৎসবকে ঘিরে। এ মৌসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিশেষ করে গোলাপ ফুলের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। তবে আসন্ন চার দিবসকে ঘিরে অন্তত দেড়’শ টাকার ফুল বিক্রির আশা করেন তিনি।
I’ve been absent for some time, but now I remember why I used to love this site. Thanks , I’ll try and check back more often. How frequently you update your web site?
I think that is one of the such a lot significant info
for me. And i’m happy studying your article. However wanna commentary on some normal issues, The website style is perfect, the
articles is really great : D. Good task, cheers
It?¦s actually a cool and helpful piece of information. I am happy that you simply shared this useful information with us. Please keep us informed like this. Thank you for sharing.
I have read a few just right stuff here. Definitely value bookmarking for revisiting. I surprise how so much effort you put to make such a great informative website.
I’d constantly want to be update on new posts on this web site, bookmarked! .
Hi there this is kinda of off topic but I was wondering if blogs use WYSIWYG editors or if you have to manually code with HTML. I’m starting a blog soon but have no coding know-how so I wanted to get guidance from someone with experience. Any help would be enormously appreciated!
Deference to article author, some great entropy.
I liked as much as you’ll obtain carried out right here. The sketch is attractive, your authored subject matter stylish. nevertheless, you command get got an shakiness over that you want be turning in the following. ill without a doubt come further in the past once more as precisely the similar just about very steadily inside of case you shield this hike.
Hi, Neat post. There is an issue together with your website in internet explorer, could check thisK IE nonetheless is the market chief and a big section of people will miss your fantastic writing because of this problem.
Lottery Defeater Software? Lottery Defeater is a software application created to help people win lotteries
I just couldn’t depart your web site prior to suggesting that I really enjoyed the standard info a person provide for your visitors? Is going to be back often to check up on new posts
It’s really a great and helpful piece of information. I am glad that you shared this helpful information with us. Please keep us up to date like this. Thanks for sharing.