জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে ঝিনাইদহ এখন মডেল জেলা

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে ঝিনাইদহ জেলা এখন বাংলাদেশের মডেল। মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং মৃত্যুহারেও ছাড়িয়ে গেছে অন্য জেলা থেকে। নীরবে নিভৃতে এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়ে ঝিনাইদহ জেলাকে উচ্চতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ঝিনাইদহ জেলায় দম্পত্তি প্রতি গড় সন্তান সংখ্যা ১.৬৬, যা খুলনা বিভাগের মধ্যে এগিয়ে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুলনা বিভাগে দম্পত্তি প্রতি গড় সন্তান সংখ্যা ১.৯ আর দেশে ২.০৪। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে এই নিম্ন হারের কারণে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত হন ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ। তিনিই বদলে দিয়েছেন জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি অফিসে শৃখলা ফিরিয়ে মাঠকর্মীদের কাছে আস্থার প্রতিক হিসেবে পরিগনিত হয়েছেন। তার ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে ঝিনাইদহ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। ঝিনাইদহ জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র খুলনা বিভাগের মধ্যে টানা পাঁচ বার প্রথম হয়েছে, যা দেশে নজিরবিহীন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে ডাঃ জাহিদ আহমেদ ঝিনাইদহ জেলাপরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে ঢেলে সাজিয়েছেন। বন্ধ ক্লিনিকগুলো সচল রাখতে তার অবদান স্মরণযোগ্য। সারা বাংলাদেশে ১৫৯টি দশ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল যেখানে বেশির ভাগ বন্ধ সেখানে ঝিনাইদহের বিভিন্ন ক্লিনিকগুলো স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় জনবল নিয়োগ করে সচল রেখেছেন। সকাল ন’টা থেকে সার্বক্সনিক খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছেন। জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফলসি, চাঁদপুর ও শৈলকুপার মির্জাপুর ইউনিয়নে নির্মিত হাসপাতালগুলোর গুনগত মান নিশ্চিত করণে কোন আপোষ করনেনি। ব্যক্তিগস জীবনেও তিনি মানবিক এক অফিসার। ২০১৪ সালের সমগ্র বাংলাদেশ থেকে ‘‘রত্নগর্ভা মা’’ খ্যাতি অর্জনকারী মিসেস মাহমুদা বেগম ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ নাসির উদ্দিন আহমেদের ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে ডাঃ জাহিদ আহমেদ সবার ছোট। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরনপুর ইউনিয়নের ভগবাননগর গ্রামে তাঁর পৈতিৃক নিবাস। দুই ভাই ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ও চার ভাইবোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। ডাঃ জাহিদ আহমেদ ঐতিহ্যবাহী ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের মেধাবী ছাত্র এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে ভর্তি হন। ডাঃ জাহিদ আহমেদ মানবিক অফিসার হিসেবে নিজের চাকরীর মধ্যে কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ করে রাখেননি। তিনি স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ উন্নয়ন ছাড়াও তিনি গরীব অসহায় হত দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছেন। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী তার অর্থে লেখাপড়া করছেন। উপ-পরিচালক ডাঃ জাহিদ আহমেদ বলেন, স্টাফদের সহায়তায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগকে তিনি শৃংখার মধ্যে দাড় করিয়েছেন। কাজ করতে গিয়ে যদি কোন ব্যার্থতা থাকে তা আমার, আর সফলতা ঝিনাইদহের মানুষের। তিনি বলেন, আমি নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *