ঝিনাইদহের দুটি উপজেলায় নির্বাচন, ভোটের মাঠে আ’লীগের সঙ্গে আ’লীগের লড়াই

Share Now..

\ আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ \
বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সরকার সমর্থক ছাড়া বিরোধী শিবিরের কোন প্রার্থী না থাকায় আ’লীগের সঙ্গে আ’লীগ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতায় নেমেছে। বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন বর্জন করলেও আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত কোন শরীক দলও এই নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। ফলে নিরুত্তাপ নির্বাচনে “যোগ্য প্রার্থী” সংকট দেখছেন ভোটাররা। এদিকে জেলা নির্বাচন অফিসের দেয়া তথ্যমতে ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২৫৬টি। এরমধ্যে ৭৭টি কেন্দ্র ঝুকিপুর্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সদরে ১৬৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি ও কালীগঞ্জে ৯১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টি কেন্দ্র ঝুকিপূর্ণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছে নির্বাচন কমিশন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় পরিচয় ও নৌকা প্রতিক না থাকলেও মুলতঃ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রবিন নেতা জে এম রশীদুল আলম, দলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মাসুম, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি গোলাম ছরওয়ার খাঁন সউদ, যুবলীগ নেতা নুর এ আলম বিপ্লব ও জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস এম আনিচুর রহমান খোকা প্রার্থী হয়েছেন। এই নির্বাচনে জাসাদ, বাসদ, কল্যান পার্টি, জেপি, জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কাস পার্টিসহ আওয়ামী লীগের শরীক দলগুলো কোন প্রার্থী দেয়নি। ফলে নির্বাচনে নিজদলের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সদর উপজেলায় জে এম রশীদুল আলমের সঙ্গে মিজানুর রহমান মাসুমের প্রতিদ্বন্দিতা হতে পারে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৬৫টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯২৮। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ জন। মহিলা ভোটার রয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৫১৯। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনেও সরকারের শরীক বা সরকার বিরোধী কোন দল অংশ গ্রহন করেনি। ফলে নিজ দলের প্রার্থীরাই মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কালীগঞ্জে নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন থেকে ইতিমধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামীলীগের জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু সরে দাড়ানোর ফলে সেখানকার ভোট অনেকটাই নিরুত্তাপ হয়ে পড়েছে। নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্যের চার অনুসারীসহ পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তবে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবলী নোমানী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান মতির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা হবে বলে জানা গেছে। কালীগঞ্জে আরো দুই প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন, কাস্টভাঙ্গা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শমশের ও জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সভাপতি ইমদাদুল হক সোহাগ। কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৯১টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৪। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২৪ হাজার ৩২৮ জন। মহিলা ভোটার রয়েছে এক লাখ ২০ হাজার ৫৫৩। ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) বিকালেই প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌছে গেছে। তিনি বলেন ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো প্রশাসনের নজরদারীতে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *