ঝিনাইদহে ৫০০বিধবা ও স্বামীপরিত্যক্তা দুঃস্হ- মহিলা ভাতার টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

Share Now..

স্টাফ রিপোর্টার

বিধবা সীতা রানী।সংসারে তার কেউ নেই।ভাতাভোগীর টাকায় চলে তার সংসার।কিন্তু সীতা রানী টাকা পাননা ৬মাস।সংসার চালানো তার অনেক কষ্ট।কিইবা করার?অফিসে গিয়ে ধরণা দিয়েও মিলছে না প্রতিকার।এ রকম শতশত বিধবা ও স্বামীপরিত্যক্তা দুঃস্হ -প্রতিবন্ধীদের ভাতাভোগীর  টাকা পাওয়ার স্বপ্ন ম্লান হতে চলেছে।দিনের পর দিন অফিসে ঘুরলেও টাকা পাবার আশা হারাতে বসেছেন তারা।ঝিনাইদহে বিধবা ও স্বামীপরিত্যক্তা দুস্হ মহিলারা  ভাতাভোগী টাকার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।ভাতাভোগীরা কার্ডের টাকা না পেয়ে দিনের পর দিন সংশ্লিষ্ট অফিসে ধরনা দিয়েও মিলছে না কোন প্রতিকার।জেলার ৬টি উপজেলায় প্রায় ৮০০জন ভাতাভোগি তাদের পাওনা টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।তবে অফিস বলছে ভুল নাম্বারে টাকা গেলে আমাদের কিছুই করার নেই।সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়-ঝিনাইদহ জেলার ভাতাভোগীদের টাকা সোনালী ব্যাংক হতে প্রদান করা হতো।সম্প্রতিকালে অনলাইনে মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সরকার।কিন্তু অনেক ভাতাভোগি বিধবা-বয়স্ক-স্বামী পরিত্যক্ত অসহায় মানুষেরা টাকা তুলতে গিয়ে নিজ একাউন্টে টাকা তুলতে গেলে টাকা তুলতে পারেন নাই।কারো মোবাইল নাম্বার ভূল আবার কারো বা নাম্বার হ্যাক করে হ্যাকাররা সব টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।এ দিকে টাকা না পেয়ে স্হানীয় উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নিকট দিনের পর দিন ধরণা দিচ্ছে ভাতাভোগীরা।তাদের দাবী তৃতীয় এবং চতুর্থ কিস্তির টাকা ৬মাস পেরিয়ে গেলেও তারা টাকা পান নি।ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় প্রায় ৫০০জন ভাতাভোগী বঞ্চিত রয়েছেন ন্যায্য টাকা পাওনা হতে।তবে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয় বলছে-গোটা জেলার শৌলকুপায়-১৪জন,কোটচাঁদপুর ৫জন,সদর-১৮জন,মহেশপুর১৫৯জন,কালীগঞ্জ -২৮জন,হরিণাকুন্ড-৪৯জনের তালিকা তাদের কাছে জমা পড়েছে।যে গুলোর মোবাইল নাম্বার ভুল ছিলো।এগুলো ঢাকা অফিসে পাঠিয়েছেন তারা।তবে টাকা পাননি কতজন সে তালিকার ব্যাপারে জানেননা অফিস। তালিকা প্রস্তুতের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অফিসকে জানানো হয়েছে।এ তালিকায় অধিকাংশ বিধবা-স্বামী পরিত্যক্তা-ও অসহায় প্রতিবন্ধী মানুষ।ভাতাভোগী আমেনা বেগম জানান-আমরা টাকা তুলতে গেলে মোবাইল একাউন্টে টাকা নেই বলে জানিয়ে দেন।তারা আরো জানান-তাদের মোবাইল নাম্বারটা ভুল।ভাতাভোগী-আসমা খাতুন জানান-আমার বইতে টাকা আছে-কিন্তু মোবাইলে নাই।অফিসে গেলে শুধু  ঘুরায়।টাকাটা বুঝি পাবো না?এবিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল সামী জানান-আমারা কিছু অভিযোগ পেয়েছি।যে অভিযোগ গুলো মোবাইল নাম্বারের ভুলবশত টাকা মিস হয়েছে।সেই তালিকা আমরা ঢাকা অফিসে পাঠিয়েছি।টাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।তবে হ্যাকাররা যদি টাকা হ্যাক করে নেয় সে ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছুই থাকবে না।আব্দুল্লাহ আল সামী আরো জানান-মোবাইলে একাউন্টটি করতে গিয়ে ভুল হতে পারে অথবা হ্যাকাররা মিথ্যা তথ্য প্রদান করে পিন নম্বর জেনে কারসাজি করে টাকা উঠাতে পারে।আমরা বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *