নেই সেই চিরচেনা টুং টাং শব্দ
শৈলকুপায় ঈদকে সামনে রেখে মানবেতর জীবন পার করছে কামারেরা
শাহীন আক্তার পলাশ,শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : কোরবানির ঈদ আসলে পশু ক্রয় ও দা-ছুরি বানানোর ধুম পড়ে যায়। সারা বছর খুব একটা কাজের চাপ না থাকলেও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কামারদের কর্ম ব্যস্ততা ও আয় বেড়ে যায় কয়েকগুন। কিছুদিন আগেও সকাল থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত টুং টাং শব্দে মুখরিত হত কামারপাড়া এখন আর নেই সেই চিরচেনা টুং টাং শব্দ। আগুনের তাপে শরীর থেকে অবিরাম ঘাম ঝড়তো সেইসাথে দিন-রাঁত সমানতালে কাজ করার দৃশ্য আর চোখে পড়ছে না। করোনা মহামারী আর লকডাউনে সবকিছু থমকে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, লক ডাউনের কারণে তেমন কোন কাজ ও বেচাকেনা না থাকায় বেকার সময় পার করছে ঝিনাইদহের শৈলকুপার কামারেরা, চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ সেইসাথে তাদের ব্যবসা জমে না উঠায় অর্থ কষ্টে মানবেতর জীবন পার করছে তারা।
উপজেলার কাতলাগাড়ী,খুলুমবাড়ী,হাটফাজিলপুর,গাড়াগঞ্জ,ভাটই,শেখপাড়া,নাগিরাট,রয়েড়া,শেখড়া, কচুয়া, শেখপাড়া বাজার ও শৈলকুপা থানা সদর সহ ছোট-বড় সব বাজারগুলো ঘুরে কামারদের এই দৈন্যদশা চোখে পড়ে। কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য দা,কাচি কেনার জন্য আবার কেউ কেউ কাচি ধার দেওয়ার জন্য বাজারে ঘুরছে। লক ডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় কামারদের আয় যেমন কমেছে তেমনি আবার সাধারণ মানুষের দূর্ভোগও বেড়েছে।
ঈদের ১/২ মাস আগ থেকে দা, কুড়াল, বটি, ছুরি, চাকুসহ ধারালো সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসত কামারেরা। সাধারণ মানুষেরা ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করত। কেউবা অর্ডারকৃত আবার কেউবা নিজে লোহা দিয়ে ধারালো ব্যবহার সমগ্রী তৈরি করতো কিন্তু ্এবারের লকডাউনে সবকিছু বন্ধের পথে।
উপজেলার কচুয়া বাজারের অনিল কামার জানান, বর্তমান করোনাকালীন সময়ে কাজ কম থাকায় জীবিকা নির্বাহে আমাদের বেশ কষ্ট পেতে হচ্ছে। শুধু পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এ পেশাটিকে এখনো আঁকড়ে ধরে আছি। এবারের ঈদে তেমন কোন কাজ নেই তাই অলস সময় পার করছি। সরকারী কোন সাহায্য এখনো মেলেনি। শৈলকুপা সদরের কবিরপুর এলাকার নারায়ন চন্দ্র কর্মকার জানান, সারা বছর আমরা চেয়ে থাকি কোরবানির ঈদের দিকে তবে এবার করোনা ও লকডাউনের কারণে ঈদে কোরবানীর পশুর বাজার বন্ধ আছে তাই পশু জবাইয়ের বিভিন্ন অস্ত্রের চাহিদা