পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-দূরত্ব বাড়াতে সভাপতি হইনি :ইলিয়াস কাঞ্চন

Share Now..

শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এখন পুরো শোবিজ তোলপাড়। পারস্পরিক বিরোধের জের এখনো থামেনি। তবে সকলেই আস্হা রাখছেন সিনিয়র চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন-এর প্রতি। বর্তমান পরিস্হিতি নিয়ে কথা বলেছেন ইত্তেফাকের সঙ্গে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন তানভীর তারেক

প্রথমেই অভিনন্দন আপনাকে। আপনার বিজয়ের পর অনুভূতিটা জানতে চাই?

প্রথমেই আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া। ভালো লাগছে। আপনারা সবাই জানেন আমি দীর্ঘদিন সংগঠন করে আসা মানুষ। তাই এবারে নতুন দায়িত্বটা একইভাবে সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করতে পারি, আল্লাহ যেন সেই তৌফিক দেন আমাকে। আর সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। এখন সবাই মিলে কাজ করতে চাই।

কিন্তু নির্বাচনের পরে তো আরো অস্থির হয়ে গেল সবকিছু। পরস্পরের অভিযোগ, সংবাদ সম্মেলন, সব মিলিয়ে আপনি খানিকটা বিব্রত কি-না ?

খানিকটা না, আমি ভীষণ বিব্রত। আর এটা তো ভালোলাগার কোনো বিষয়ও না । আমি তো এখন কোনো একটি প্যানেলের না। সকল শিল্পীদের সভাপতি।

এদিকে নিপুন ও জায়েদ খান পরস্পর অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। মামলাও করবেন একে অপরের বিরদ্ধে। সংগঠনের সভাপতি হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখছেন? এর সমাধান কী?

দেখুন, আপনারা সবাই দেখেছেন, সকলেই একে অপরকে বিভিন্ন মন্তব্য দিয়েছেন। এসব আমি কখনো করিনি। আমি কাদা ছোঁড়াছুড়ির কালচার থেকে বের করতে চাই পুরো সমিতিকে। এসব আমার স্বভাবেও পড়ে না। এখন শপথের পর সব কিছু নিয়েই এর সমাধান করবো সবাই মিলে ।

কিন্তু, শপথ কবে? এটাও আমরা সকলে জানতে চাই। সারাদেশের মানুষ আপনাদের এই নির্বাচন নিয়ে যে কৌতুহল দেখিয়েছে, এর মূল্যায়ন আপনার কাছে কেমন?

প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলতে চাই, শপথের বিষয়টা নির্বাচন কমিশনার জানাবেন। তিনি জানিয়েছেন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। আর সারাদেশের মানুষেরা যে ভালোবাসা আর কৌতুহল প্রকাশ করেছেন, এটাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। এ থেকে এটাই প্রমাণিত হয় চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকদের তীব্র কৌতুহল । এখন আমরা সম্মিলিতভাবে এই চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে কাজ করলে তারা আমাদের বিমুখ করবে না।

এর ভেতরেই পারস্পরিক অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন, এমনকি অপর প্যানেলের বিজয়ীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করলেন। এ নিয়ে আপনার মতামত শুনতে চাই

— আমি শুরুতেই বললাম বিব্রত আমি। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কষ্ট পেয়েছি। অবাক হয়েছি। কারণ দেখুন, আমি এখন কোনো প্যানেলের সভাপতি না, গোটা সমিতির সভাপতি। সেখানে আমাকে ছাড়া যাওয়াটা কী অশোভন নয়? এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-দূরত্ব বাড়াতে সভাপতি হইনি। সবাইকে নিয়ে একটা সমাধান করতে চাই। তা নিয়ে আমার নিজস্ব কৌশল বা স্টাইল রয়েছে। সেভাবেই কাজ করতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *