ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাইলসকে
এক রাজ্যের কালো মেঘ সরিয়ে আবার জিমন্যাস্টিকস ফ্লোরে নেমে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তারকা জিমনাস্ট সিমোন বাইলস। চারটা ইভেন্টের মধ্যে শেষ ইভেন্ট ব্যালেন্স বিমে লড়াই করেছেন কিন্তু স্বর্ণ জিততে পারেননি। তার স্বর্ণ নিয়ে গেছেন চীনের জিমনাস্ট। সিমোন বাইলস ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন। তাকে হারিয়ে দিয়েছেন চীনের চেনচেন গুয়ান। স্বর্ণ জয় করেছেন তিনি। শেষ লড়াইটা ছিল চীনের আরেক জিমনাস্ট সিজিং তাং এর সঙ্গে। তার কাছেও হেরেছেন বাইলস। সি জিং তাং রুপার পদক জয় করেছেন।টোকিওর আরলাক জিমন্যাস্টিকস সেন্টারে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্টদের মধ্যে কঠিন লড়াই হয়েছে। টান টান উত্তেজনা ছিল। সবার ফোকাস ছিল বাইলসের দিকে। উত্কণ্ঠায় ছিলেন চীনা জিমন্যাস্টরা। তখনও স্কোর ঘোষণা করা হয়নি। টেনশনে ঘামতে দেখা গেছে। বিচারক ঘোষণা করেন চীনের চেনচেন গুয়ান ১৪.৬৬৩ স্কোর করে স্বর্ণপদক জয় করেছেন। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আলোকজ্জ্বোল হয়ে উঠে জিমন্যাস্টিকস সেন্টার। নিজের স্কোর জানার অপেক্ষায় থাকা সিমোন বাইলস তখন ধ্যান ভাঙেন। স্বর্ণ জেতা হলো না। সিমোন বাইলসও নিশ্চিত ছিলেন রুপার পদক হতে যাচ্ছে। আর চীনের আরেক জিমনাস্ট সিজিং তাংয়ের চোখে মুখে তখন রাজ্যের টেনশন।
রিও অলিম্পিকে চার স্বর্ণ জেতা সিমোন বাইলসকে টপকে যাওয়ার সুযোগ কোথায়। এমনই সময় ঘোষণা হয় সিজিং তাং ১৪.২২৩ স্কোর করে রুপা জয় করেছেন। শুনেই সিজিং তাং কাদতে শুরু করেন। ততক্ষণে ঘোষণা হয় বাইলসের স্কোর ১৪.০০০। বাইলস গিয়ে সিজিং তাংকে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন, হাসি মুখে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানালেন। সংবাদমাধ্যমকে বাইলস জানিয়েছেন, এটা আসলে কঠিন এক পরিস্থিতি। আগে কখনো পড়িনি। সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে হবে। বাইলস বলেন, ‘আমরা সব সময় বিনোদন দিয়ে যাই। আমরাও রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ। আমাদেরও মন আছে।’