ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণে যা খাবেন  

Share Now..

মানব শরীরের জন্য ভিটামিন ডি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের যদি কোনোভাবে মানবদেহে ঘাটতি হয় তাহলে প্রাকৃতিক উপায়ে সমস্যার সমাধান করা যায়।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ভিটামিন ডির ঘাটতি হলে অটোইমিউন ডিজঅর্ডারের ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি ভিটামিন ডির অভাবে মাংসপেশি ও হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সুস্থ থাকতে ভিটামিন ডি গ্রহণ করার বিকল্প নেই। 

সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে সহজ আর দ্রুত কাজ করে। নিয়মিত বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকতে পারলে শরীরের ৭০ ভাগ ভিটামিন ডি-র চাহিদাই পূরণ হয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এ উৎস থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে অনেকেই সক্ষম হন না। তাই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নিন, যা ভিটামিন ডির ঘাটতি মেটাতে সক্ষম: 

সামদ্রিক মাছ
চর্বিযুক্ত মাছের মধ্যে রয়েছে স্যালমন, সার্ডিন, ম্যাক্রেল ইত্যাদি। এসব মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি লোপের শঙ্কা কমায়। এছাড়াও, কড মাছের তেল ভিটামিন ডির চমৎকার উৎস। যাদের মাছ খেতে ভালো না লাগে, তারা এই মাছের তেল সাপ্লিমেন্ট আকারে গ্রহণ করতে পারেন। রিকেটস, সোরাইসিসের মতো রোগ নিরাময়ে কড মাছের তেল বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।  সামুদ্রিক মাছ টুনা ভিটামিন ডির বেশ ভালো উৎস। সরাসরি টুনা মাছ পাওয়া সহজ নয়। তাই কেউ চাইলে ক্যানজাত টুনা রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়। এতে থাকা ২৬৯ আইইউ ভিটামিন ডির ঘাটতি হতে দেয় না। 

ডিম
ডিম ভিটামিন ডি-র একটি উৎকৃষ্ট উৎস । ডিমের কুসুমে রয়েছে ৩৭ আইইউ ভিটামিন ডি। নিউট্রিশনে ভরপুর হাঁসের ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ ও ডি, আয়রন মুরগির ডিমের থেকে বেশি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে ডিম রাখলে ভিটামিন ডির ঘাটতি মিটবে অনেকটাই। 

মাশরুম
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন -ডি রয়েছে। মাশরুম রক্তে ভিটামিন ডির উৎপাদন বাড়ায়। যা বাচ্চাদের দাঁত ও হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে চাষ করা মাশরুমে ভিটামিন ডির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।

শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *