যৌতুকের কারণে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ বিচারের বাণী নিভৃত্তে কাঁদে

Share Now..

\ স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ \
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট দৌলতপুর গ্রামের মৃত কাজী মশিয়ার রহমানের মেয়ে সাবিনা ইয়াছমিন লাকীকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার ভাই জামিরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার একটি আদালতে মামলা করেছেন। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে পারিবারিক ভাবে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম খানের ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে বিয়ে হয় লাকির। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুইটি সন্তানও রয়েছে। দুই সন্তান নিয়ে সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। ২০১৯ সালে হঠাৎ লাকির কাছে যৌতুক দাবী করে বসে ফারুক হোসেন। টাকা দিতে না পারায় নানা ভাবে নির্যাতন করা হতো। নির্যাতনের কারণে বিভিন্ন সময় হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়েছে লাকিকে। ২০০৯ সালে পিতা মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরেন লাকির ভাই জামিরুল ইসলাম। যৌতুকলোভী ফারুক দিনের পর দিন যৌতুকের জন্য স্ত্রী লাকিকে মারধর করতো। গত ১০ এপ্রিল আবারো যৌতুক দাবী করে স্বামী ফারুক হোসেন বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। আহত অবস্থায় তার মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। বিষয়টি জানার পর অভিযোগ করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দিতে গেছে মামলা গ্রহন করেনি। নিরুপায় হয়ে চুয়াডাঙ্গার একটি আদালতে মামলা করেন ভাই জামিরুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *