শৈলকুপায় রোদের তেজে পুড়ছে ক্ষেতের ফসল, দুশ্চিন্তায় কৃষক

Share Now..

\ বিশেষ সংবাদদাতা, শৈলকুপা \
চলমান তাপপ্রবাহে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। টানা রোদে পুড়ে যাচ্ছে গাছ। ঝরে পড়ছে লিচু, আম সহ অপরিপক্ব মৌসুমি ফল। অন্যদিকে পুড়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। ব্যাহত হচ্ছে পাট, মরিচ ও ধানের চাষ। জমিতে সেচ দেওয়া হলেও প্রচন্ড রোদের তেজে পানি বেশিক্ষণ থাকছে না। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, শাকসবজি ও ধানের জমিতে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। বিশেষ করে ধানের জমিতে পানি জমা রাখতে হবে। সবজির চারা দিনের বেলা পলিথিন দিয়ে না ঢেকে রেখে বস্তা, চট বা কলাপাতা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে, যাতে তাপ না লাগে। এমন বৈরী আবহাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচন্ডরোদে জমি শুকিয়ে যাওয়ায় নেতিয়ে পড়ছে সবজিগাছ, ঝড়ে যাচ্ছে ফুল ও অপরিপক্ব ফসল। এ ছাড়া তাপে মৌসুমি ফল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। একইভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পানের বরজ। উপজেলার আবাইপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বেগুন, শসাসহ বিভিন্ন সবজি চাষের মৌসুম চলছে। এসব ফসলে প্রয়োজনীয় পানিসহ নিয়মিত পরিচর্যার দরকার পড়ে। এখন প্রচন্ড তাপের কারণে জমিতে কাজ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া রোদে পুড়ে নেতিয়ে পড়ছে গাছগুলো। মদনডাংগা গ্রামের কৃষক করিম বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টির অভাবে সবজি খেত শুকিয়ে যাচ্ছে। গাছগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। ধানচাষী সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। রোদে গাছ শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। সেচ ব্যবস্থা না থাকায় গাছ পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তাপ প্রবাহের কারণে নতুন করে ফসলের বীজ বপন করতে পারছেন না চাষিরা। নজরুল ইসলাম নামের এক চাষি বলেন, ভুট্টা কাটার পরে জমিতে পাট আবাদের কথা ছিল। কিন্তু রোদের যে তাপ, এতে সেচ দিয়ে চাষ করা সম্ভব না। ভুট্টার ক্ষেত রোদে পুড়ে বাদামী হয়ে যাচ্ছে। এখন প্রয়োজন ভারী বৃষ্টি। আমরা চরম সমস্যার মধ্যে আছি। আবুল হোসেন নামের এক মরিচ চাষি জানান, মরিচের চারা লাগানোর পর তিন দিন পরপর জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। তাছাড়াও বেশীরভাগ চারা মরে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, কৃষকদের সেচের মাধ্যমে চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে হয়তো চাষিদের উৎপাদন খরচ বাড়বে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কৃষিতে স্বস্তির সম্ভাবনা দেখছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *