সাভারে তীব্র গ্যাস সংকট, ব্যাহত হচ্ছে পোশাক কারখানার উৎপাদন 

Share Now..

সাভার-আশুলিয়ায় শিল্প কারখানায়ও গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ অঞ্চলের শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। প্রয়োজনের অর্ধেক গ্যাসও পাচ্ছে না অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। ফলে গ্যাসের চাপ কম থাকায় পোশাক শিল্প ও কলকারখানার উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার ১২ ঘণ্টাই গ্যাসের চাপ থাকে না। এমনিতেই বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের অর্ডার দিচ্ছে না এরপর আবার গ্যাস সংকট।

সাভারের আল-মুসলিম গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার আবু রায়হান জানান, গ্যাস সংকটে এ সাভার আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। কারখানাগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আগে ঘণ্টায় যে উৎপাদন হতো এখন তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে সময়মত পণ্য শিফটমেন্ট করা যাচ্ছে না। সাভার ও আশুলিয়ার শত শত শিল্প কারখানারই একই অবস্থা।

সাভারের রাজফুলবাড়ীয়া বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থিত গোল্ডেন স্টিচেচ পোশাক কারখানার জেনারেল ম্যানেজার এ জেড এম আক্তার হোসেন খান বলেন, গ্যাস সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সাভার আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চলের সব পোশাক কারখানা। সময়মত উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে না।

আশুলিয়ার নরসিংপুর এলাকার কয়েকটি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে পোশাক কারখানাগুলোতে তীব্র গ্যাস সংকটের ফলে ছোটখাটো পোশাক কারখানার মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

আশুলিয়ার একাধিক পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সংকটের কারণে অন্যান্য শিল্প কারখানার মালিকরাও দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। দিন দিন কারখানায় উৎপাদন কমে যাচ্ছে কিন্তু উৎপাদন ব্যয় ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। পোশাক কারখানার মালিকরা না পারছে কারখানা চালাতে আবার না পারছে বন্ধ করতে।

কারণ, অধিকাংশ পোশাক কারখানার মালিকরা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে কিছু কারখানা চললেও অধিকাংশ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানান তারা।

সাভারের তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সালেহ খাদেম উদ্দিন জানান, জাতীয় পর্যায় থেকে গ্যাস সরবরাহ কম হওয়ায় কলকারখানা ও আবাসিক এলাকাগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস বিতরণ করা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যে পার্থক্য এর জন্যই সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। আমরা যে পরিমাণ গ্যাস পাই তা মোটামুটি সমানভাবে সরবরাহের চেষ্টা করি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *