হরিণাকুন্ডুতে আবারও বাল্য বিয়ে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপ
হরিনাকুন্ডু প্রতিনিধিঃ
হরিণাকুন্ডুতে আবারও বাল্য বিয়ে, অবশেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম আহমেদের হস্তক্ষেপে
মুক্তিপেল সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মেয়ের ১৮ এবং ছেলের ২১ বছর বয়স হলে বিয়ের যোগ্য হবে। কিন্তু এই নিয়ম না
মেনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলছে বাল্য বিয়ের মতো ঘটনা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ছেলে মেয়েদের উজ্জল
ভবিষ্যত। প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে বাল্যবিয়ে দেওয়ার মত নিন্দনীয় ঘটনা।
জনসচেতনতা মূলক,প্রচার,সভা,সেমিনার অব্যহত রেখেছে সরকার সহ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান তবুও থামছে
না বাল্যবিবাহ। কি করলে বাল্যবিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকবে বর বা কনের অভিভাবকরা, জানতে চাই সুশীল
সমাজের বোদ্ধা মানুষেরা।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার জোড়াদহ ইউনিয়নের কামাড়পাড়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী
বিবাহের আয়োজন চলছিলো।হটাৎ গাড়ীর শব্দ, দ্রæতগতিতে পৌছালো সাদা পিকাপ। বিয়ে বাড়ীতে
শুরু হলো দৌড়ঝাপ, কোথায় পালাই, কোথায় পালাই। হাজির হলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম আহমেদ, পন্ড হলো বাল্যবিয়ে। সচেতন ভাবে অইন অমান্যকরে
নাবালিকা মেয়েকে বিবাহ দেওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালোনা করলেন তিনি কনের অসচেতন
পিতা আনোয়ার হোসেনকে দশ হাজার(১০,০০০/-)টাকা জরিমানা করলেন তিনি।
জানাযায় জোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের
খাইরুল হোসেনের ছেলে হাসিবুল (১৯) এর সাথে বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করে তাদের উভয় পক্ষের
অভিভাবকরা।
এসময়ে হরিনাকুÐু সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম আহমেদ ঐ স্থানে
উপস্থিত সাধারণ মানুষদের বাল্যবিয়ের মতো অন্যায় কাজের সাথে জড়িত না থাকতে আহব্বান জানান।
এছাড়াও তিনি অভিভাবকদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের বাল্যবিয়ের মতো অসামাজিক কাজ থেকে বিরত
থেকে তাদের লেখাপাড়া শিখিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশ নেওয়ার আহব্বান জানান।