শৈলকুপা ভূমি অফিসের দৃশ্যপট পাল্টে দিলেন এসি ল্যান্ড পার্থ প্রতিম শীল
শৈলকুপা প্রতিনিধি ঃ
শতভাগ অনলাইন আপডেট ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্র, সপ্তাহে একদিন গণশুনানি আর দ্রুততম সময়ের মধ্যে জমির নামজারিসহ নানামুখী সেবায় পাল্টে দিয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) পার্থ প্রতিম শীল। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে ২০২০ সালের ১৬ ই ফেব্রুয়ারী যোগদানের পর থেকে পাল্টে দিয়েছেন ভূূূূূূূূূূূূূমি অফিসের চিত্র। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে অফিসের সব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এতে করে উপজেলা ভূমি অফিসে বৃদ্ধি পেয়েছে সেবার মান। সেবা পেয়ে ভূক্তভোগী জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,সাধারন মানুষের সুবিধার্থে অফিসে চালু হয়েছে সেবা সহায়তা কেন্দ্র, দ্বিতীয় তলায় রয়েছে বড় রেকর্ড রুম, নীচ তলায় তথ্য বাতায়ন, সেবা গ্রহীতাদের জন্য সিটিজেন চার্টার, অফিসে সেবা গ্রহীতাদের জন্য রয়েছে বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা, অফিস চত্বরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান এছাড়াও ভূমি অফিসের পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। গণশুনানির ম্যাধ্যমে জবাবদিহিতা সহ ভূমি সেবা পৌছে দেওয়া হচ্ছে তৃনমূলে। সব মিলিয়ে পাল্টে গেছে শৈলকুপা উপজেলা ভূমি অফিস।এখন সেবা নিতে নেই কোন তৃতীয় পক্ষের দৌরাত্ম। কোনো হয়রানি ছাড়াই মিলছে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।দালাল মুক্ত পরিবেশে ভূমি অফিসের নানামুখী সেবা পেয়ে খুশি সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
যারা এক সময় তৃতীয় পক্ষের সহায়তা ছাড়া জমির কোনো কাজই করতে পারতেন না, তারাই এখন নিজের সমস্যার কথা নিজেরাই ভূমি অফিসে এসে বলতে পারছেন। সেবাগত এই পরিবর্তনের সাথে একটি চূড়ান্ত পরিকল্পনা নিয়ে ভূমি অফিসের পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজও এগিয়ে চলছে।
ভূমি উন্নয়ন কর সফটওয়্যার বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অনুয়ায়ী হোল্ডিং এর তথ্য শতভাগ এন্ট্রির কাজ চলমান রয়েছে। ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৮৯৯৮ টি নামজারীর কাজ সমাপ্ত হয়েছে। জমির খাজনা ও ভূূূূূূূূূূূূমি উন্নয়ন কর অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারী জমি উদ্ধার হয়েছে ৭ একর ৩৮ শতক যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা সেইসাথে বিভিন্ন সময়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে সরকারী জমিতে ২৫০ এর মত দোকান ঘর। উপজেলাতে বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৪টি ইউনিয়ন ভূূূূূূূূূূূূূূূূূমি অফিস ও পৌরসভায় ১টি পৌর ভূমি অফিস রয়েছে আর এসমস্ত অফিসের কাজের মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা উপজেলার হরিহরা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজুর রহমান বলেন, আমি আমার জমির নামজারীর জন্য এসেছিলাম কোন হয়রানী ছাড়াই কাজ সম্পন্ন করতে পেরে আমি খুশি।
পৌর এলাকার বাসিন্দা এম হাসান মুসা বলেন,জমি ও বাড়ির খাজনা দিতে এসেছিলাম কোন হয়রানি ছাড়াই স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজ হয়ে গেল। বর্তমান ভূূূমি অফিসের পরিবেশ খুবই ভাল।
সহকারী কমিশনার পার্থ প্রতিম শীল বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সেবার মান বৃদ্ধির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি তবে ভূমি সংক্রান্ত কাজ অন লাইনভিত্তিক হওয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে দক্ষ লোক না থাকায় কিছু সমস্যা হলেও তা কাটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।