প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন বাইডেন ও শি
২০২১ সালে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথমবারের মতো দুই নেতা মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন। এরআগে ভার্চুয়াল বৈঠক হলেও সরাসরি বৈঠক হয়নি তাদের। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখনো তিক্ত। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বালিতে আগামী ১৪ নভেম্বর বৈঠক করবেন বাইডেন ও শি। বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো, দুই দেশের মধ্যে আলোচনা ও যোগাযোগের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া ও তা আরও জোরদার করা।
এছাড়াও নিজেদের স্বার্থ বজায় রেখে কীভাবে দুই দেশের সম্পর্ক আরো ভালো করা যায়, সহযোগিতা বাড়ানো যায় তা নিয়েও বাইডেন ও শি আলোচনা করবেন বলে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, আলোচনায় সেগুলোও গুরুত্ব পাবে। এখন বাণিজ্য নীতি, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন, তাইওয়ান সম্পর্কে চীনের মনোভাব নিয়ে দুই দেশের তীব্র মতবিরোধ রয়েছে।
এই শীর্ষ বৈঠক নিয়ে হোয়াইট হাউস ও চীনের কর্মকর্তারা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা করেছেন। শি জিন পিং কয়েক সপ্তাহ আগে তৃতীয় মেয়াদের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তিনি বাইডেনকে চিঠি লিখে জানান, পরিবর্তিত সময়ের চাহিদা মেনে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র যেন আরো কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে।
এদিকে বাইডেনও জানান, অ্যামেরিকা চীনকে প্রতিযোগী হিসাবে দেখে। তারাও বিরোধ চায় না।
কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রটাও বিশাল। চীনের মতে, তাইওয়ান তাদের অংশ এবং তারা তাইওয়ানকে মূল চীনের অংশ করতে চায়। কিন্তু বাইডেন বেশ কয়েকবার বলেছেন, চীন যদি জোর করে তাইওয়ান দখল করতে চায়, তাহলে অ্যামেরিকা চুপ করে বসে থাকবে না।
চীনের আপত্তি স্বত্বেও মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেছেন। তারপর তাইওয়ান ঘিরে চীন সামরিক মহড়া করেছে। সম্প্রতি চীনে উইগুর মুসলিমদের উপর নির্যাতন নিয়ে অ্যামেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে আবার মতভেদ হয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধেও চীন পুতিনের পাশে আছেন। অ্যামেরিকা তা ভালো চোখে দেখছে না। বাইডেন গত বুধবার (৯ নভেম্বর) জানান, তিনি তাইওয়ান প্রসঙ্গ নিয়ে শি জিন পিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। এর পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ও বাণিজ্য নীতি নিয়েও কথা হবে।
বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি যখন শি জিন পিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন, সেখানে দুই দেশের জন্য একটা রেড লাইন তৈরির চেষ্টা করবেন। চীনের জাতীয় স্বার্থ বলতে শি জিন পিং ঠিক কী বোঝাতে চান, সেটাও জানার চেষ্টা করবেন। অ্যামেরিকার জাতীয় স্বার্থর কথাও বলবেন তিনি। এটাও দেখার চেষ্টা করবেন তিনি যে দুই দেশের স্বার্থ পরস্পর বিরোধী কিনা।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বৈঠক থেকে খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা না করাই ভালো। বৈঠকের পর কোনো যৌথ বিবৃতি থাকবে না। বলা যেতে পারে, বাইডেন এখন চীনের সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে চান।
Dive into a world of fantasy and unleash your inner hero! Lucky Cola