দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি চুয়াডাঙ্গায়

Share Now..

\ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি \
চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জেলায় হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গত ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেকর্ড করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ০ (শূন্য) ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৪৫ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ দশমিক ০ (শূন্য) ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে বেলা ৩ টায় দাড়ায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বিকেল ৬ টায় এ তাপমাত্রা এ তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে দাড়ায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ। তীব্র তাপদাহ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীক‚ল। হাসপাতালে বাড়ছে পানিবাহিত ও গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান সন্ধা ৬ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাধারণত দুপুর ৩ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা উত্তপ্ত থাকে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল শুক্রবার) দুপুর ৩ টার তাপমাত্র ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রী এবং এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। তবে (১৯ এপ্রিল শুক্রবার) দুপুর ৩ টার পর তাপমাত্রার পারদ আরো কিছুটা বেড়ে দাড়ায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। তিনি আরো বলেন, এমন তাপদাহ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশিরভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে গোটা জেলা জুড়ে। দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই একটি প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিড়িয়ে নিচ্ছেন তারা। আবার অনেকে সড়কের পাশের শরবত ও মাঠা খেয়ে একটু স্বস্তি খুঁজছেন, কেউবা গাছ তলায় ছায়ায় বসে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *