শৈলকুপায় আমন ধান ক্ষেতের বাতাসে দুলছে কৃষকের সবুজ স্বপ্ন

Share Now..

শৈলকুপা(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি ঃ

ভাল আবহাওয়া ও বৃষ্টির পানি পাওয়ায় আমন ধানের ক্ষেত যেন এবার হাসছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মাঠে মাঠে এখন আমনের সবুজের সমারোহ। আমন ধান ক্ষেতে বাতাসে দুলছে কৃষকের সবুজ স্বপ্ন। ফলন ভাল হওয়ায় চোখে মুখে কৃষকের হাসি। ১০/১২দিন পরেই শুরু হবে পুরোদমে ধান কাটার মৌসুম। সোনালি ধান ঝলমল করছে মাঠের পর মাঠ। মাঠ ভরা ফসল দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালি ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা। আমন মৌসুমকে ঘিরেই এমন স্বপ্ন দেখছে এ অঞ্চলের চাষিরা।
তবে কৃষি বিভাগের দাবি, অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথা সময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে এবার আমন চাষের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ফলে মাঠে দোল খাওয়া সবুজ ধানে নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
শৈলকুপায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষক। এ মৌসুমে উপজেলায় ২৪৯২৭ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে যা লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে। প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ দেখা না দিলে ১০/১২ দিনের মধ্যেই কৃষক তাদের কাঙ্খিত আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।
উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের ধানচাষি মিজানুর রহমান বলেন, আমার ৭ বিঘা জমি আছে। গতবার বোরো মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। এবার পুরো ৭ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ধান ভাল হয়েছে,কয়েকদিন পরেই ধান কেটে ঘরে আনবো। আশা করছি প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে ঠিকঠাকমত ধান ঘরে তুলব। এবার ভালো ফলন হয়েছে ও ভালো দাম পেলেই আমরা খুশি।
ইতালি গ্রামের নুর ইসলাম বলেন, আমি গরিব মানুষ, চার বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছি। এই মাঠে সবার চেয়ে আমার জমিতে আমন চাষ ভাল হয়েছে। প্রতিদিন ধান ক্ষেতে আসি আর স্বপ্ন দেখি, ধান কেটে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সুখে দিন কাটাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিচুজ্জামান খাঁন জানান, এ উপজেলায় ২৪৯২৭ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪৯২০ হেক্টর ।এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৫হাজার ১৪০ হেক্টর , উফশী জাতের ১৯৭৮০হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। এবছরে হাইব্রীড জাতের লক্ষমাত্রা ছিল ৫১৪৫ হেক্টর ও উফশী জাতের লক্ষমাত্রা ছিল ১৯৭৮২ হেক্টর। তবে অন্যবারের চেয়ে এবার আমনের ফলন ভাল হয়েছে।

1,381 thoughts on “শৈলকুপায় আমন ধান ক্ষেতের বাতাসে দুলছে কৃষকের সবুজ স্বপ্ন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *